মুহাম্মদ মুনীর হুসাইন খান
হাওজা নিউজ এজেন্সি রিপোর্ট অনুযায়ী, ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী জোর গুরুত্ব দিয়ে বলেছেন : গাযায় যুদ্ধাপরাধ করার প্রতিবাদ স্বরূপ ইসরাইলের সাথে মুসলিম দেশগুলোর সম্পর্ক ছিন্ন করার সময় হয়ে গেছে।
وزير الخارجية الإيراني يؤكد أن الوقت حان لقطع الدول الإسلامية علاقاتها مع الكيان الإسرائيلي احتجاجاً على جرائمه ضد قطاع غزة
প্রশ্ন হচ্ছে ইসরাইলের সাথে কোন্ কোন্ মুসলিম দেশের সম্পর্ক আছে ?
মিসর , তুরস্ক ( তুর্কিয়া ) , জর্দান , আরব আমিরাত, বাহরাইন, কাতার , ওমান , সুদান , আযারবাইজান ইত্যাদি ।
এসব দেশের উচিত ছিল : গাযায় যুদ্ধাপরাধ করে যাওয়ার বিরুদ্ধে জোরালো প্রতিবাদ স্বরূপ ইসরাইলের সাথে তাদের সকল সম্পর্ক ছিন্ন করা। কিন্তু এ পর্যন্ত তারা তা করে নি । এখন সময় হয়ে গেছে এ সম্পর্ক ছিন্ন করার। ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সময়োচিত এ আহ্বানে সাড়া দেয়া এ সব মুসলিম দেশগুলোর উচিত মুসলিম উম্মাহ ও গাযায় মযলূম ফিলিস্তীনীদের স্বার্থে । গাযায় যা ঘটছে তা হচ্ছে যে গাযার নিরীহ নিরপরাধ জনগণকে বর্বর ইসরাইলী মার্কিন পাশ্চাত্য "যৌথ আক্রমণ ও আগ্রাসন " চালিয়ে হত্যা করছে গণহত্যা চালাচ্ছে। তারা সকল ধরনের যুদ্ধাপরাধ করছে । এখন সকল মুসলিম দেশের উচিত এ হিংস্র নির্মম পাশবিক বর্বর অপরাধ মূলক আক্রমণ ও আগ্রাসনের বিরুদ্ধে সর্বাত্মক ভাবে রুখে দাঁড়ানো এবং এ জঘন্য অন্যায় ও অপরাধ মূলক গণহত্যা ও আগ্রাসন বন্ধ করার যথাযথ কার্যকর পদক্ষেপ নেয়া। তাই ইসরাইলের সাথে মিসর তুরস্কের মতো কতিপয় মুসলিম দেশের সম্পর্ক বজায় রাখার কোনো মানেই হয় না বরং তাদের এ সম্পর্ক ইসলাম ও মুসলিম উম্মাহর চরম স্বার্থ বিরোধী। আর এরপরও যদি ও সব মুসলিম দেশ ইসরাইলের সাথে সম্পর্ক বজায় রাখে তাহলে স্পষ্ট হয়ে যাবে যে ঐ সব মুসলিম
দেশও গাযায় ইসরাইলের গণহত্যা ও যুদ্ধাপরাধ সমূহে এক সমান শরীক ও অংশীদার এবং তথাকথিত এ সব মুসলিম দেশের প্রকৃত চেহারা ও স্বরূপ উন্মোচিত হয়ে যাবে যারা এখনও ইসরাইলের সাথে সম্পর্ক বজায় রেখেছে । ইসলাম ধর্ম , ঈমান ও মুসলমানিত্ব হুকুম করে ইসরাইলের সাথে অনতিবিলম্বে ঐ সব মুসলিম দেশের সকল সম্পর্ক ছিন্ন করা।
وسائل الإعلام العبرية تقول إن جيش الاحتلال يستعد للتحرك برياً إشارة إلى الهجوم البري على قطاع غزة.
ইব্রী (ইসরাইলী) সূত্র ও প্রচার মাধ্যম সমূহ : এখন ইসরাইলী সেনাবাহিনী স্থল পথে অগ্রসর হওয়ার জন্য প্রস্তুত ; আর এটা হচ্ছে গাযায় স্থল আক্রমণের ইঙ্গিত।
এখন গাযায় শহীদদের সংখ্যা: ৩৪৭৫ জন এবং আহতদের সংখ্যা : ১২৫০০ জন এবং জর্দান নদীর পশ্চিম তীরে শহীদদের সংখ্যা : ৬১ জন এবং আহতদের সংখ্যা : ১২৫০ জন ।
উত্তর ইসরাইলের মেডিক্যাল সূত্র সমূহ জানিয়েছে : যখন থেকে লেবাননের সাথে ইসরাইলের সংঘর্ষ শুরু হয়েছে তখন থেকে এ পর্যন্ত আহত ও নিহত ইসরাঈলীর সংখ্যা ২০৬ এ উন্নীত হয়েছে ।
রুশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই ল্যাভরভ : গাযা পরিস্থিতি আঞ্চলিক যুদ্ধের রূপ নিতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন।
এদিকে ইরাকে মার্কিন ঘাঁটি সমূহে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের তৎপরতা শুরু হয়েছে এবং যুদ্ধ বিমান , ড্রোন ও সাঁজোয়া যান সমূহ পুনর্বিন্যাস ও প্রস্তুত করে রাখা হচ্ছে ।